অবাঙালীরা বিশেষ করে হিন্দি উর্দুভাষীরা বলে বাঙালী সবই খায়, পানিও খায়, ভাতও খায়। তাই আজ বাঙালীর খাবার নিয়ে আলাপ করবো। বাঙালীর খাবার বৈচিত্র্য আছে, হালে বাঙালী ঘুষও খায়।
খাওয়া হচ্ছে খাদ্য গ্রহণের পদ্ধতি; চর্ব্য, চোষ্য, লেহ ও পেয় অর্থাৎ চিবানো, চোষা, লেহন করা (জিভ দিয়ে চাটা), ও পান করা এই চার রকম পদ্ধতিতে খাওয়া হয়। তাই চর্বণ, চুষণ, লেহন ও পান, যেভাবেই খাবার গ্রহণ করা হোক তাকে খাওয়া বলতে হবে৷
প্রত্যেক ভাষার যে আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে তা বলাই বাহুল্য। অন্য ভাষার সঙ্গে মেলালে (তুলনা করলে) অনেক সময় সঠিক প্রকাশভঙ্গী ব্যক্ত হয় না।
- আমরা ভাত কিভাবে খাই? চর্বণ করে, তাই ভাত চর্ব্য৷
- আমরা পানি কিভাবে খাই? পান করে, তাই পানি পেয়৷
- আমরা আমড়ার আঁটি বা আইসক্রিম কিভাবে খাই? লেহন করে, তাই এগুলো লেহ্য৷
- আমরা ক্যাণ্ডি বা তেঁতুল কিভাবে খাই? চুষণ করে বা চুষে, তাই ক্যাণ্ডি বা তেঁতুল চুষ্য৷ আজকাল অনেকে অবশ্যই আঙুলও চুষতে বাধ্য হয়।
খাদ্য গ্রহণের পদ্ধতিগুলো সবার জানা হলে সবাই সঠিকভাবে বুঝে না বলেই পানি খেলে লোকে হাসে৷ অথচ পান করা খাওয়ারই প্রকরণ বিশেষ৷
এবার আশা করি বিড়ি, পানি, হাওয়া খেতে কারো আপত্তি থাকবে না৷
বলে রাখা ভালো, ঔষধ সেব্য হলেও বাঙালী খায়, আবার মাদক যেহেতু ঔষধেরই প্রকার বিশেষ তাকেও সেবন করে আবার খায়ও, ইংরেজীতে যাকে বলে ‘Take medicine’!